কিভাবে বুঝবেন আপনি একজন গর্ভবতী?

গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ:- 

আপনি কি গর্ভবতী?কিছু লক্ষণ বা উপসর্গের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে এটা নির্ণয় করা যেতে পারে।সাধারণত মাসিক মিস হওয়ার এক বা দুই সপ্তাহ পর কিছু লক্ষণ দৃশ্যমান হয়ে উঠতে পারে।এসব লক্ষণ প্রতি 10 জনের মধ্যে 7 জনের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের 6 সপ্তাহের  মধ্যে দেখা যায়।


 খাদ্যে অনীহা:-

গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে খাবারে
অনীহা বোধ হওয়া বেশ স্বাভাবিক।যদি কোন খাদ্যদ্রব্যের গন্ধ আপনার মাঝে বমি ভাব নিয়ে আসে তবে খেয়াল করুন এমনটা ক্রমাগত হচ্ছে কিনা।এ সময় বমি ভাব বা খাদ্যে অনীহার কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।


মন মেজাজের ওঠানামা:-

মেজাজের ওঠানামা অকারণে মন খারাপ হওয়া, রাগ হওয়া।ভালোলাগা কিংবা খারাপ লাগা উভয়েই তীব্র অনুভূত হয়।এসময় মন মেজাজের কোন ঠিক-ঠিকানা না থাকাই স্বাভাবিক।এমন মুড সুইংয়ের কারণ বেশ কয়েকটা।সম্ভবা মায়ের শরীরে এ সময় হরমোন বদলের কারণে ব্রেনের অভ্যান্তরে মেসেজ বহনকারী নিউরোট্রান্সমিটারের পরিমাণে পরিবর্তন আসে।


পেট ফুলে যাওয়া:-

আপনার তলপেটে খিল ধরা ভাব বা পেট ফোলা ভাব থাকতে পারে। পেটে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি গ্যাস হতে পারে।হরমোনগত পরিবর্তনের কারণে একসময় সম্ভবা মায়ের পেট ফুলে যাওয়ার অনুভূতি হয়।এটা অনেকটা মাসিক হওয়ার পূর্ব মুহূর্তের অনুভূতি।


ঘন ঘন প্রসাবের বেগ:-

হরমোনগত পরিবর্তনের কারনে এ সময় শরীরে যে কটি পরিবর্তন আসে তার একটি হলো রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি।রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধির ফলে বারবার প্রস্রাবের বেগ হয়।এই উপসর্গ আপনার প্রথম স্ট্রিমস্টার বা ছয় সপ্তাহের মাথায় দেখা যাবে।

অবসন্নবোধ:-

হঠাৎ হঠাৎ ক্লান্ত বোধ করছেন?কিংবা ক্লান্তিতে ভেঙ্গে পড়ছেন?আসলে কেউই এখন পর্যন্ত ব্যাখ্যা করতে পারেনি সন্তানসম্ভাবা মায়ের প্রথম দিকের ক্লান্তির কারণ কি।সম্ভবত প্রোজেস্টেরন হরমোনের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ আপনাকে এই  ঘুম  ঘুম অনুভূতি দিচ্ছে।


স্তন কোমল ও স্ফীত হওয়া:-

 স্তনে নরম ভাব এবং  নিপ্পল অনেক সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। স্তনের আকার ও বৃদ্ধি পেতে পারে।গর্ভধারণের পর শরীরে বিশেষ কিছু হরমোন প্রবাহের কারণে স্তনযুগল বেশ স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে, যা কিনা গর্ভধারণের আরেকটি চিহ্ন।স্তনের এই ফুলে ওঠা এবং ব্যথা অনেকটা মাসিক পূর্ববর্তী অবস্থার ব্যথার মত।

বমি বমি ভাব-:

বমি বমি ভাব এবং মর্নিং সিকনেস শুরু হতে পারে। কিছু কিছু খাবারের ক্ষেত্রে অনীহা আসতে পারে।সাধারণত গর্ভধারণের এক মাসের আগে বমি বমি ভাব দেখা দেয় না।তবে এর ব্যতিক্রম আছে যাদের গর্ভধারণের দুই সপ্তাহের মাঝেই বমি ভাব দেখা দেয়।সাধারণত সকালে এই বমি ভাব হয় তবে অনেকের এই সমস্যা সময় মেনে চলে না।প্রায় অর্ধেকের মতো গর্ভবতী মহিলা তাদের দ্বিতীয় ট্রিমেস্টারের শুরুতে বমি ভাব থেকে মুক্তি পায়।

মাসিক মিস হওয়া:-

আপনার মাসিক যদি সঠিক চক্র মেনে চলে এবং ঠিক সময়ে যদি আপনার মাসিক না হয়,তবে উপরের উপসর্গগুলো দেখা না গেলেও আপনি বাড়িতে বসেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করার কথা চিন্তা করতে পারেন।


হালকা স্পটিং দেখা যেতে পারে:-

আপনার প্রসবদ্বার  তার হতে খুব হালকা একটা রক্তের দাগ দেখা যেতে পারে।




বর্ধিত শারীরিক তাপমাত্রা:-

যদি আপনি নিয়মিত আপনার শরীরের তাপমাত্রার চাট রেখে থাকেন এবং যদি দেখেন একনাগাড়ে 18 দিনের বেশিতাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তবে খুব সম্ভবত আপনি গর্ভবতী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ